আজ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৮০তম জন্মবার্ষিকী
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার।বাংলার সাত বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে একজন জন্ম নিয়ে ধন্য করেছিলেন এদেশের মানুষকে। তিনি ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
আজ তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকী । ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে মারা যান এ বীর যোদ্ধা। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব পান তিনি।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদনগর)। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারানোর কারণে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে তিনি ইপিআরে যোগ দেন। বর্তমানে তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা, ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল ও তিন মেয়ে রয়েছেন।
১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগ দেন নূর মোহাম্মদ। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে। পরবর্তীতে তিনি ল্যান্স নায়েক পদোন্নতি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরে অংশগ্রহণ করে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে তার সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে সহযোদ্ধাকে কাঁধে নিয়েই এলএমজি হাতে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। হানাদার বাহিনীর মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙে যায়। শক্রমুক্ত করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যান। যুদ্ধ করতে করতে এক সময় মৃত্যুন কোলে ঢোলে পড়েন।
এ বীরের সম্মানার্থে নড়াইলে নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপিত হয়েছে। কলেজ চত্বরেই নির্মাণ করা হয়েছে নূর মোহাম্মদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। তার বাড়িতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাষ্টের সদস্য সচিব আজিজ আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, নূর মোহাম্মদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ কোরআনখানি, পুষ্পমাল্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ